নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে, নিহত ৯

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে। ইতিমধ্যেই হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। নতুন করে হিংসা ছড়ানোর পর মণিপুরে আবার নতুন করে কঠোর কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ফের নতুন করে হিংসা ছড়ায় মণিপুরে। তাতেই প্রাণ হারান ৯ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ১ জন মহিলাও আছেন। জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে মণিপুরের খামেনলোক এলাকায় গুলির লড়াই বাঁধে। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ৯ জন। আহত হন বহু। সেনা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। 

আহতদের উদ্ধার করে ইম্ফল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, হিংসায় নিহতদের শরীরে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে সে রাজ্য়ের শান্তি প্রক্রিয়ার উপর বড় আঘাত। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক মাস ধরে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। 

খামেনলোক, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, তা পূর্ব ইম্ফল ও কাংপকপাই জেলার সীমান্তের কাছে অবস্থিত। গত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এরপরই গতকাল রাতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। হিংসা ছড়ায়। প্রসঙ্গত, দুই সম্প্রদায়ের মধ্য়ে এই সংঘর্ষ, হিংসা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই ১০০ জনের প্রাণ কেড়েছে। প্রায় হাজারের উপর মানুষ বেঘর হয়েছে। আহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই হিংসা ছড়ানোর কারণ হল মেইতেই গোষ্ঠীকে তফশিলি জাতিভুক্ত করা। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তাদেরকে তফশিলি উপজাতি ভুক্ত করার দাবি জানালে, তার প্রতিবাদ করে কুকি উপজাতির মানুষরা। কারণ মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করলে, তারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবে ও বনাঞ্চলে প্রবেশের অধিকার পেয়ে যাবে। 

ওদিকে কুকি গ্রামবাসীদের রিজার্ভ ফরেস্টের জমি থেকে উচ্ছেদ করা নিয়েই উত্তেজনার শুরু। যা থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে আদিবাসী অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বে রাজ্যটিতে। মণিপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশই মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন। আর জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ আদিবাসী নাগা এবং কুকিরা। তারা মূলত পার্বত্য জেলাগুলিতে বাস করেন।

আরও পড়ুন, Zomato | Deepinder Goyal: মাইনে না পেয়েও মাসিক আয় ১ কোটি; স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করেও IIT-তে এই ডেলিভারি বয়

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Source link