সুতপা সেন: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন! চব্বিশে ফের একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমরা একজোট হয়ে লড়ব। একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে লড়ব’।
নজরে ২০২৪। এপ্রিলে কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গে তেজস্বী যাদব। বস্তুত, তৃণমূলনেত্রীর অনুরোধেই পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ। কবে? আগামীকাল, শুক্রবার।
সেই বৈঠকে যোগ দিতে পাটনায় গিয়েছেন মমতা। এদিন বিমানবন্দর থেকে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে যান তিনি। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দু’জনের।
বিরোধী বৈঠকে কী আলোচনা হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘এখন কিছু বলতে পারব না। এক বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের জন্যই এসেছি। একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে লড়ব। যে নীতি ঠিক হবে, সেটা সবার জন্যই হবে’।
এদিকে পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে আমন্ত্রিত কংগ্রেসও। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধরী বলেন, ‘আমেরিকা পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে ভারত কি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করতে যাবে না? ঠিক একইরকমভাবে, ভারতবর্ষের রাজনীতিতে আলোচনা করতে, নীতীশকুমার মনে করেছে, এইসমস্ত নেতাদের আমন্ত্রণ করা দরকার। তাই তারা আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছে’। তাঁর দাবি, ‘কংগ্রেস একথা কখনও বলেনি যে, আমরা আমন্ত্রিত, তাই অধীর চৌধুরী কাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে মমতার জয়ধ্বনি দাও! কংগ্রেস মনে করে, মমতাকে মোকাবিলার জন্য দিল্লির নেতা লাগে না, স্থানীয় নেতা, আমরা যথেষ্ট’।
আর বিজেপি? দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘যখন রাজ্য অদ্ভূত এক প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে, তখন আমাদের মুখ্য়মন্ত্রী হঠাৎ দিল্লি চলে গিয়েছেন। নির্বাচন এলেই বিরোধীদের মধ্যে একটা ভালোবাসা ভালোবাসা খেলা তৈরি হয়। আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গের মতো যাতে বিহারে নির্বাচন হয়, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন হয়, গুজরাতে নির্বাচন হয়, তারা সেই পথে অগ্রসর হয়েছে’।