জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর জীবনে এখন প্রচারের কেন্দ্রে নেই, তিনি এখন রাজনীতির মূল স্রোতে নেই, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতো দ্যুতিময় এক অবস্থানে তিনি নেই বহু মাস। কিন্তু খবর তাঁকে ছাড়ছে না। ফের বরিস খবরের কেন্দ্রে। এবার বাবা হয়ে তিনি খবরে। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অষ্টমবারের মতো বাবা হলেন।
আরও পড়ুন: Supermassive Black Hole: অসম্ভব দূরত্বে অকল্পনীয় বিশালত্বের এক ব্ল্যাক হোল! গিলে নেবে নাকি পৃথিবীটাকে?
বরিসের স্ত্রী ক্যারি জনসন মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে নবজাতককে কোলে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করে এই তথ্য জানিয়েছেন। ক্যারি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ফ্র্যাঙ্ক আলফ্রেড ওডিসিয়াস জনসন, তোমাকে এই পৃথিবীতে স্বাগত। প্রসঙ্গত এই নামটি গ্রিক মিথ থেকে নেওয়া হয়েছে। ৫ জুলাই সকাল ন’টা পনেরোর দিকে নবজাতকের আগমন। সেখানে তিনি আরও লেখেন, আমি আমার ঘুমন্ত সন্তানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। আমার আগের দুই সন্তান তাদের ছোট ভাইকে পেয়ে আনন্দ উত্তেজনায় জড়িয়ে ধরে, যা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য!
২০২০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যারিনা হোয়েলারের সঙ্গে বরিস জনসনের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। ম্যারিনা-বরিসের চার সন্তান। এ ছাড়া অন্য এক প্রেমিকার সঙ্গেও বরিসের এক কন্যাসন্তান আছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা মোস্টিন-ওয়েনের দাম্পত্যে অবশ্য কোনো সন্তান নেই। কনজারভেটিভ পার্টির প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা ক্যারিকে দু’বছর আগে বিয়ে করেন বরিস জনসন। ৫৮ বছরের বরিস জনসন ও ৩৫ বছরের ক্যারির ৩ ও ২ বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে। বরিস ও ক্যারির প্রথম সন্তান উইলফ্রেড ২০২০ সালের এপ্রিলে জন্ম নেয়। আর পরের সন্তান মেয়ে রোমির জন্ম হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রোমির জন্মের আগে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস জানিয়েছিলেন, ওই সময় পর্যন্ত তাঁর ছ’সন্তান রয়েছে!
আরও পড়ুন: Nepal: ধ্বংসাবশেষ মিলল হঠাৎ-উধাও হেলিকপ্টারের, পাওয়া গেল দেহও…
২০২০-২১ সালে করোনা অতিমারি চলাকালে ব্রিটেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের কার্যালয়ে একাধিক পার্টির আয়োজন করেছিলেন। যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। এই বিষয়টিই পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত হয়। এই সব অভিযোগকে কেন্দ্র করে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। পরে, ৯ জুন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি পদ থেকেও পদত্যাগ করেন বরিস।