জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন মহিলা। অবশেষে তাঁকে পাওয়া গেল, কিন্তু মৃত অবস্থায়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁর জিম প্রশিক্ষককে। পুলিসি জেরায় অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই সন্তান-স্বামীকে নিয়ে কোতোয়ালি থানা এলাকায় থাকতেন একতা। তাঁর স্বামী একজন ব্যবসায়ী।
শহরের গ্রিন পার্ক এলাকায় জিমে যেতেন একতা। সেখানের জিম ট্রেনার বিমল সোনির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন একতা। কিন্তু বিমলের বিয়ে ঠিক হওয়ায় একতা খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত পুলিসকে জানায়, তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপর জিমে যাওয়া বন্ধ করে দেন মহিলা। ঝগড়ার ২০দিন পর ২৪ জুন ফের জিমে যান তিনি। সেখানে গেলে বিমল তাঁকে নিয়ে গাড়ি করে বেরোয়। গাড়ির মধ্যেই তাদের ব্যাপক ঝামেলা হয়। বচসা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। রাগে বিমল একতার ঘাড়ে জোরে আঘাত করেন হাত দিয়ে। সেই আঘাতে মহিলা জ্ঞান হারান। তার পর তাঁকে খুন করে।
আরও পড়ুন:Mumbai Stampede: দীপাবলির ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার তাড়া! স্টেশনে পদপিষ্ট একাধিক…
দেহ লোপাট করতে বিমল একতার দেহ ডিএম কম্পাউন্ডের কাছে মাটির তলায় পুঁতে দেয়৷ ডিএম কম্পাউন্ড এলাকায় প্রশাসনিক কর্তা, বিচারকদের বসবাস ৷ প্রতিটি বাড়ির বাইরে একজন করে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে ৷ এলাকায় সিসি ক্যামেরাও ইনস্টল করা রয়েছে ৷ এখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত খুব একটা নেই ৷ এইরকম নিরাপদ ও হাইপ্রোফাইল এলাকায় জিম ট্রেনার বিমল পাঁচ ঘণ্টা ধরে একটা গর্ত খুঁড়ে সেখানে একতাকে পুঁতে দেয় ৷ অথচ তাকে কেউ দেখতে পায়নি ৷ এই অবস্থায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে৷
ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজে ওই মহিলাকে জিমে দেখা যায় । লাল টি শার্ট এবং কালো প্যান্ট পরে তিনি সেদিন এসেছিলেন। উত্তর কানপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার শ্রবণ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মহিলার নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। শত চেষ্টার পর জিম ট্রেনারের হদিশ পাওয়া যায়। দীর্ঘ জেরার পর সে তার অপরাধ স্বীকার করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)