জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বয়স মাত্র আড়াই বছর। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল জিভের অপারেশনের জন্য। কিন্তু অপারেশন হল তার যৌনাঙ্গে। প্রাথমিক তদন্তে উত্তর প্রদেশের বরেলির এম খান হাসপাতালের ওই কাণ্ড প্রমাণ হওয়ার পরই হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। অর্থাত্ এখন থেকে ওই হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি ও চিকিত্সা বন্ধ হল।
আরও পড়ুন-টানা ৩ দশক বয়ে বেড়াচ্ছিলেন যমজকে, নাগপুরের সঞ্জয়কে দেখে তাজ্জব চিকিত্সকেরা
ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এক ট্যুইট করে লিখেছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। বরেলির চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ যদি প্রমাণ হয় তাহলে অভিযুক্ত চিকিত্সক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যেন এফআইআর করা হয়। এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন জিভের অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আড়াই বছরের ওই শিশুকে। কিন্তু জিভের অপারেশনের পরিবর্তে তার যৌনাঙ্গে অপারেশন করা হয়। আরও স্পষ্ট করে বললে শিশুর যৌনাঙ্গের বাড়তি চামড়া কেটে বাদ দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরই শিশুর আত্মীয়রা পুলিসে অভিযোগ করেন। আর ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সবর হয় এলাকায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে। গোটা বিষয়টি বরেলির সিএমওকে তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।
সিএমও ডা বলবীর সিংয়ের দাবি অনুয়ায়ী সংবাদমাধ্যমের খবর, চিকিত্সকদের কটি দল ওই হাসপাতালে যান ও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। যে চিকিত্সক ওই অপারেশন করেছিলেন তাঁর এবং সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করেন। শিশুটির পরিবারের লোকজনদেরও বয়ান নেওয়া হয়। হাসপাতালের নথিপত্র নেওয়া হয়েছে ও তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।