জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২০ সালেই হওয়ার কথা ছিল। হয়নি। করোনা অতিমারির জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে আবার তার লগ্ন ঘুরে এল। সূর্য অভিযানের লগ্ন। ভারতের প্রথম সূর্য মিশন। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখন চন্দ্রযান-৩ নিয়ে হইহই চলছে। এই আবহেই এবার সূর্যের তত্ত্ব-তালাশ। আগামী ২৬ অগাস্ট ইসরোর তথা ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য এল-১ লঞ্চ হবে। ঐতিহাসিক মুহূর্ত সন্দেহ নেই। চন্দ্রযান-৩ ২৩ বা ২৪ অগাস্ট নাগাদ চাঁদের মাটিতে পৌঁছবে, আর এর দিনতিনেক পরেই ইসরোর ভাবনায় রয়েছে সূর্যমিশন।
আরও পড়ুন: India’s Women-only Masjid: ভারতে প্রথম! তৈরি হচ্ছে শুধু মহিলাদের জন্য; কোথায় আছে এমন মসজিদ?
‘ইসরো’ এই সূর্যমিশনে লঞ্চ করবে ‘আদিত্য এল-১’ নামক যান। সান-আর্থ সিস্টেমের হ্যালো অরবিটের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে-১ (L-1)-এর সন্নিহিত অঞ্চলে যাবে এই আদিত্য। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এই অবস্থানে থেকে সূর্যকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে যানটি। গ্রহণ বা অন্য কোনও অন্তরায় ঘটবে না। কী দেখবে এই যান? দেখবে সূর্যের নানারকম কার্যপ্রক্রিয়া, দেখবে মহাকাশের আবহাওয়ার উপর কী প্রভাব ফেলে সূর্যের এই সব কর্মকাণ্ড।
‘আদিত্য এল-১’ কে একটি পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল)-র মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে। ধরা হয়েছে, লঞ্চের পর থেকে অন্তত ৪ মাস সময় লাগবে এর নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: চাঁদের মাটিতে অশোকস্তম্ভের চিহ্ন আঁকবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার…
বহুচর্চিত চন্দ্রযান-ত-এর উৎক্ষেপণ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার অভিযান মসৃণ রয়েছে। যথাবিহিতই সে উড়ে চলেছে। ভারতের মহাকাশপ্রযুক্তির দিক থেকে খুবই বড় ঘটনা। এর আগের মিশন, চন্দ্রযান-২, ব্যর্থ হয়েছে। ফলে, এই মিশনে বাড়তি নজর। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ বহনকারী যে স্পেসক্র্যাফ্ট লঞ্চ করল সেটি ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। চাঁদে এর সফ্ট ল্যান্ডিং ঘটবে। এটি চাঁদ সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করবে। অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প নিয়ে ইসরো খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে ‘ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস’ চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলে ঘোরাফেরা করবে। চন্দ্রযান-৩ -এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে যান নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। এই বিরল কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে ভারত।