জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুনিয়ার অন্যতম দূষিত শহর হল দিল্লি। রাজধানীতে এই হারে যদি দূষণ চলতে থাকে তাহলে দিল্লির মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে ১১.৯ বছর। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইন্সস্টিটিউট যে এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ভারেতের একশো তিরিশ কোটি মানুষ যেখানে বাস করেন সেখানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কোথায় কত।
আরও পড়ুন-চাঁদে সালফার-সহ একাধিক খনিজ খুঁজে পেল প্রজ্ঞান, হাইড্রোজেনের সন্ধানে চলছে জোর তল্লাশি
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশের ৬৭.৪ শতাংশ মানুষ এমন জায়গায় বাস করেন সেখানে দেশের গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (40 μg/m3) এর থেকে অনেকটাই বেশি। অর্থাত্ দূষণে জর্জরিত দেশের একটি বড় অংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা বলছে ভালোভাবে বাঁচার জন্য এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হওয়া উচিত 5 μg/m3 । সমীক্ষাটি বলছে বাতাসে যে সুক্ষ ধূলিকণা রয়েছে তা দেশের মানুষের গড় আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে কমপক্ষে ৫.৩ বছর করে।
দিল্লিতে যে দূষণ মারাত্মক আকার নিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবছর শীত বা দেওয়ালির সময়েই তা বোঝা যায়। হইচই পড়ে যায় চারদিকে। সমীক্ষা অনুযায়ী দিল্লির বাতাসে দূষণের যে মাত্রা তাতে এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে রাজধানীর ১ কোটি আশি লক্ষ মানুষের আয়ু গড়ে ১১.৯ বছর কমে যাবে। হু-র গাইডলাইন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে যে দূষণ চলছে তাতে ভারতীয়দের গড়া আয়ু কমতে পারে ৮.৫ বছর। উত্তর ভারতের সবচেয়ে কম দূষিত শহর হল পাঠানকোট। সেখানেও দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে দেওয়া মাত্রার থেকে ৭ গুনেরও বেশি। এতে সেখানকার মানুষের গড় আয়ু কমে যেতে পারে ৩.১ বছর।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বে যে হারে দূষণ বাড়ছে তাতে ভারতের অবদান ৫৯ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ প্রবল দূষণের কবলে পড়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান ও নেপাল। দুনিয়ায় যেভাবে মানুষের আয়ু কমে যাচ্ছে তার বেশিরভাগই এইসব দেশের। ওইসব দেশের দূষণ লাফিয়ে বাড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে দেশগুলির জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বেপরোয়া শিল্পায়ন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ওইসব দেশে দূষণের মাত্রা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের উপরে। দূষণের নিরীক্ষে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অন্যতম দূষিত দেশ হল বাংলাদেশ।