গভীর জঙ্গলের মধ্যে মায়া-‘পাথরের স্তম্ভ’, পিরামিড! কোথা থেকে এল?Ocumtun Buildings previously unknown ancient Mayan city of Maya civilisation Found Deep In Mexican Forest

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পৃথিবীর অন্যতম চর্চিত সভ্যতা মায়া সভ্যতা। সেই সভ্যতার এক নিদর্শন এবার প্রকাশ্যে এল। মেক্সিকোর গভীর জঙ্গলে মিলল প্রাচীন এই সভ্যতার এক শহরের ধ্বংসাবশেষ। দেখা গিয়েছে, শহরটিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিরামিডের মতো পাথরের স্তম্ভ-সহ বিশাল সব নির্মাণের অংশ। প্রত্নবিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরটি প্রাচীন মায়া সভ্যতার সময়েরই। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে শহরটি মায়া জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল বলেও মনে করছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: Titanic’s Wreck: জানা গেল অতল মহাসমুদ্রের গভীরে কী ভয়ংকর কাণ্ড ঘটল টাইটানিক দেখতে যাওয়া সাবমেরিনটির…

শহরটির সন্ধান পেয়েছেন ‘আর্কিওলজি কাউন্সিল অফ দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি’র একদল গবেষক। শহরটির নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘ওকুমতান’। মায়া ভাষায় এর অর্থ ‘পাথরের স্তম্ভ’।
গবেষকেরা জানিয়েছে, এই শহর ৫০ হেক্টরের বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে। সেখানে ২৫০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মায়া জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বসবাস করতেন। এর পতন শুরু হয়েছিল ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই। মোটামুটি ২০০ বছরের মধ্যেই ধ্বংস হয় এলাকাটি। শহরটি মেক্সিকোর কামপেচে প্রদেশের বালামকু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পড়েছে।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইভান স্প্রাজক। ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রায় ৬০ কিলোমিটার হাঁটার পর শহরটি নজরে আসে তাঁদের। ইভান বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, শহরটি একটি দ্বীপ-এলাকায় উঁচু ভূখণ্ডে অবস্থিত। চারপাশে রয়েছে জলাভূমি। শহরটিতে বেশ কয়েকটি বড় বড় বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে কয়েকটি পিরামিড আকৃতির নির্মাণও।

শহরটি থেকে মৃৎশিল্পের কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এমন কিছু গর্তের সন্ধান মিলেছে যেগুলি ৬০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের পুরনো! এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বর্তমান মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে। প্রাচীনকালে উত্তর ও লাতিন আমেরিকায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল এই মায়া সভ্যতাই।

আরও পড়ুন: Yevgeny Prigozhin: ‘পিঠে ছুরি-মারা’ ইয়েভগেনিকে কি ক্ষমা করবেন পুতিন? নাকি প্রতিশোধের…

‘আর্কিওলজি কাউন্সিল অফ দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি’র তরফে ইভান স্প্রাজক বলেছেন, যে-শহরটি প্রকাশ্যে এসেছে সেই এলাকাটি বাজার অথবা ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের জায়গা ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। আরও গবেষণা করলে এই অঞ্চল ও বাসিন্দাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা একই ধরনের আরও কিছু ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন। সেগুলি নিয়েও গবেষণা হবে।  

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

Source link