জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাগপুরের বিজেপি নেত্রী সানা খানের নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর তাঁর স্বামী অমিত সাহুকে গ্রেফতার করল পুলিস। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর গ্রেফতার কর াহল সানার স্বামীকে। জব্বলপুরের গোরাবাজার এলাকায় থেকে সাহুর অন্য এক সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে নাগপুর পুলিস। স্ত্রীকে খুনে কথা পুলিসের কাছে স্বীকার করেছে অমিত। পুলিসের কাছে অমিত কবুল করেছে খুনের পর সে সানার দেহ হিরন নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেই দেহের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন-‘রক্তের খেলা হয়েছে’, বাংলার পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর
উল্লেখ্য, নাগপুর থেকে জব্বলপুর যাব বলে বেরিয়েছিলেন বিজেপির মাইনোরিটি সেলের সদস্য সানা খান। পুলিস সূত্রে গত ১ আগস্ট জব্বলপুর যাব বলে বেরিয়ে যান সানা। ২ আগস্ট তিনি তাঁর আত্মীয় ইমরানকে ফোন করে বলেন তিনি জব্বলপুরে পৌঁছে গিয়েছেন। সেইদিনই সন্ধেয় তিনি ইমরানকে ফোন করে বলেন তাঁকে তার স্বামী অমিত সাহু ওরফে পাপ্পু মারধর করেছে। ওই কথা শুনেই ইমরান বিষয়টি সানার মাকে গোটা ঘটনা বলেন। তার পর থেকে সানার সঙ্গে আর যোগাযাগ করতে পারেনি পরিবার।
পুলিস সূত্রে খবর, ছমাস আগেই ধাবা মালিক অমিত সাহু ওরফে পাপ্পুকে বিয়ে করেন সানা খান। ২ আগস্ট জব্বলপুর পৌঁছে গিয়েছেন বলার পর মারধরের কথাও হয় ইমরানের সঙ্গে। তার পর থেকে আর কোনও যোগায়োগ করতে পারেননি সানার মা। তাঁর মোবাইল ফোনটি স্যুইচড অফ আসে। এরপরই নাগপুর পুলিসের কাছে গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে সানার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর নাগপুর পুলিস জব্বলপুর এসে পৌঁছয়। এরপরই পাপ্পুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস।
সানা ও পাপ্পু, দুজনই বিবাহিত। সানার একটি সন্তানও আছে। পাপ্পুর সঙ্গে সানার ঘনিষ্ঠতা খবরে তার সঙ্গে পাপ্পুর বিবাদ শুরু হয়। শেষপর্যন্ত ডিভোর্স হয়ে যায় পাপ্পুর। এরপর গত ৬ মাস আগেই সানার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সানা। কিন্তু হঠাত্ কেন একেবারে খুন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।