জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোচির কনভেনশন সেন্টারের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১ মহিলার। বিস্ফোরণে আহত সংখ্যা বেড়ে ৪০। রাজ্য জুড়ে চলছে জোরদার তল্লাশি, জারি হয়েছে সতর্কতা। ঘটনার তদন্ত করছে এনএসজি ও ও এনআইএ। এদিকে ওই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ডমিনিক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি ত্রিচুর জেলায়। থানায় এসে সে আত্ম সমর্পণ করে। কনভেনশন সেন্টারে আজ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জেহভাজ উইটনেস। ডমিনিক নার্টিনের দাবি সে ওই সংগঠনের সদস্য। পুলিস ডমিনিককে ত্রিচুর পুলিস অ্যাডেমিতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
আরও পড়ুন-আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
এডিজি(‘ল অ্যান্ড অর্ডার) অজিথ কুমার সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ত্রিচুরের কোডাকারা থানায় এক ব্যক্তি এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর দাবি তিনিই কোচির ওই কনভেনশন সেন্টারে বোমা রেখেছিলেন। ডোমিনিক মার্টিন নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তিনিও উদ্যোক্ত সংগঠনের সদস্য। আমরা সব দিকটা খতিয়ে দেখছি। কনভেনশন সেন্টারের একেবারে মাঝখানে ওই বিস্ফোরণ ঘটে।
কেরল পুলিস সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে ফেসবুকে লাইভ করেছে ডমিনিক। তার মোবাইল ফোন থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রিমোর্ট ব্যবহার করে বোমা বিস্ফোরণের ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে মার্টিনের ফোন থেকে। পুলিস তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ছে। তবে তাদের বক্তব্য ডমিনিকের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। কারণ একজনের পক্ষে বিস্ফোরক তৈরি করা, তা প্ল্যান্ট করা, বিস্ফোরণের জায়গা রেইকি করা একজনের পক্ষে সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেটা জানতেই মার্টিনকে জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিস।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি নিজেকে ডমিনিক মার্টিন বলে দাবি করেছেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছি। গত ১৬ বছর ওই সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে চলেছি। ওরা আমাদের দেশের জন্য ভয়ংকর। ওরা বলে অন্য ধর্মের মানুষের সহ্গে মেলামেশা করো না। দেশের জন্য কাজ করো না।
বিস্ফোরণের পর পুলিসের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে বিস্ফোরণে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল একটি টিফিন বক্সে। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ কোচির ওই কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০ জন। আহতের সঙ্গে আরও বাড়িতে পারে। পরিস্থিতি বিচার করে আগামিকাল সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন।
এদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীনা জর্জ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন মোট ৫২ জন আহতকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোচিতে ভর্তি করা হয়েছে ৩০ জনকে। এদের মধ্যে ১৮ জন রয়েছেন আইসিইউতে। ৬ জন রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কোর ইউনিটে। ওই ৬ জনের মধ্যে ১২ বছরের একটি বালকও রয়েছে। বাকীদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনওপর্যন্ত মৃত মহিলাকে চিহ্নিত করা যায়নি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)