জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিষিদ্ধ হতে চলেছে স্মার্টফোন? ঘটনা প্রায় সেরকমই। রাষ্ট্রসংঘ বহুদিন ধরেই স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। সেই চিন্তারই ফলশ্রুতি হিসেবে বেরিয়ে এসেছে তাদের এই অভিমত যে, স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করাই উচিত। রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্টে এ রকমই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেন রাষ্ট্রসংঘ হঠাৎ এমন ভাবল?
আরও পড়ুন: Alien And UFO: বিগ ব্রেকিং! এলিয়েন রয়েছে পৃথিবীতেই, এদের দেহও আছে এ-গ্রহে; জেনে নিন কোথায়…
রাষ্ট্রসংঘ আসলে দেখেছে, স্মার্টফোন নানা ভাবে সুষ্ঠু শিক্ষাগ্রহণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই ক্লাসরুমের হট্টগোল কমাতে, শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়ার মান বাড়াতে এবং অনলাইন বুলিং থেকে ছোটদের বাঁচাতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি দিয়েছে ‘ইউনেস্কো’। ‘ইউনেস্কো’ রাষ্ট্রসংঘের একটি শাখা, যারা শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে। সেই ইউনেস্কোর রিপোর্টেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ ওরফে ‘ইউনেস্কো’র এই রিপোর্টে উঠে এসেছে এই জরুরি পর্যবেক্ষণ যে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার এডুকেশনাল পারফরম্যান্সের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি ইমোশনালিও তা পড়ুয়াদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ইউনেস্কোর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শিক্ষার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘হিউম্যান সেন্টার্ড ভিশনে’র আওতায় থাকাই উচিত। কেননা শিক্ষকের সঙ্গে পড়ুয়ার মুখোমুখি সাক্ষাতের কোনও বিকল্প হয় না। তাই অনলাইন এডুকেশনের বাড়াবাড়ির মধ্যে দিয়ে এই ব্যবস্থাকে কখনই নষ্ট করা উচিত নয়।
তবে এই রিপোর্টটি পেশ করতে গিয়ে ‘ইউনেস্কো’ খুব জরুরি একটা কথা বলে। তারা বলেছে, সব পরিবর্তন উন্নতির পথে নিয়ে যায় না। কোনও কিছু করা যায় বলেই সেটা করা উচিত নয়!
আরও পড়ুন: Atlantic Ocean Current: মহাবিপর্যয়! থেমে যাবে বিশ্ব জুড়ে বহমান বিপুল এই সমুদ্রস্রোত?
রিপোর্ট করতে গিয়ে ‘ইউনেস্কো’ শিক্ষার সামাজিক ব্যাপ্তির বিষয়টিও তুলে ধরেছে। শিক্ষার পার্সনালাইজেশন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যে বিপুল সুবিধা তৈরি হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েও ইউনেস্কো বলেছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কৌশলে কাজে লাগাতে হবে। কেননা, ডিজিটাল প্রযুক্তির সূত্রে শিক্ষার গুণমান আদৌ বেড়েছে কিনা, বাড়লে কতটা সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।