উত্‍সবে শোকের ছায়া! শোভাযাত্রার হাতির তাণ্ডবে মন্দিরেই মৃত ৩, আহত প্রায় ৩০…| 3 killed 30 injured as elephants run amok during temple festival

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্‍সবে মেতে সবাই। আচমকাই খুশির হাওয়া বদলে গেল হাহাকারে। হাতির তাণ্ডবে মন্দিরেই মৃত ৩ এবং আহত ৩০। জানা গিয়েছে, কেরালায় কোইলান্ডি এলাকার মানকুলাঙ্গারা মন্দিরে উৎসব চলাকালীন আতশবাজি ফাটানো হয়। সেই ভয়েই আচমকাই পীঠাম্বরন নামে একটি হাতি মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যার ফলে তার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা গোকুল নামে আরেকটি হাতিকে আক্রমণ করে। 

ফলে মন্দিরে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন হুড়োহুড়িতে পড়ে যায়। পদপিষ্টের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হাতিরা রীতিমত কিছুক্ষণ মন্দিরে চত্বরে তাণ্ডব করে। কোনওমতেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। যার জেরে তারা মন্দিরে অফিসটি ধ্বংস করে দেয়। কিছু লোক সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে। 

ঘটনায় তিনজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এবং প্রায় ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তিন মাস আগেই কেরালা হাইকোর্ট হাতির কুচকাওয়াজ নিয়ে কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছিল। তিন মাস কাটতে না কাটতেই এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটল। তবে, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশাবলী ‘অবাস্তব’ বলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি স্থগিত করেছিল।

আরও পড়ুন:Ranveer Alhabadia: একের পর এক FIR, বাঁচতে ‘সুপ্রিম’ শরণে ‘অভিশপ্ত’ রণবীর…

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, রাজ্যের বনমন্ত্রী এ কে সাসেন্দ্রন জেলা কালেক্টর এবং উত্তর অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক (সামাজিক বনায়ন) এর কাছ থেকে জরুরি প্রতিবেদন তলব করেছেন। এই প্রতিবেদনে নির্ধারণ করা হবে যে কেরালা বন্দী হাতি (ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) নিয়মের কোনও লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, যা এই ধরনের ঘটনায় ব্যবহৃত হাতির চিকিৎসা এবং পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মাসের শুরুতে উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকে, কেরালায় হাতিদের উন্মত্তভাবে দৌড়ানো এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, উৎসবের সময় হাতিদের আক্রমণে দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল পালাক্কাড়ের একটি মসজিদে। ত্রিশুরের একটি মন্দিরে পৃথক ঘটনায়, হিংস্র হয়ে ওঠার পর হাতির আক্রমণে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

গত নভেম্বরে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, উৎসব বা মিছিলের জন্য কত হাতি মোতায়েন করা যেতে পারে তার সংখ্যা স্থানের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা উচিত। ‘প্রাণী অধিকার সুরক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি’ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় আদালত বলেছে যে রাজ্যকে কেরালা বন্দী হাতি (ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা, ২০১২ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link