জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞায় পঙ্গু আফগানিস্তান দেশটি। তালিবান যেন দেশটিকে সব দিক থেকে অসহনীয় করে তোলার প্রতিজ্ঞা করেছে। কিছুদিন আগেই তারা বিউটি পার্লার বন্ধ করে দিয়েছে। এবার বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিল তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা। সংগীতকে অনৈতিক আখ্যা দিয়ে সে দেশের ‘মিনিস্ট্রি ফর দ্য প্রোমোশন অফ ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ ভাইস’ দফতরটি এই পদক্ষেপ করেছে। তালিবানের এই ব্যবহারে স্তম্ভিত সারা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: Russia on Ukrainian: ‘এবার ব্যবহার করতেই হবে পরমাণুবোমা’ হুমকি পুতিনের! আর একটি হিরোশিমা?
দেখা গিয়েছে, তালিবান সরকারের জারি করা বিধিনিষেধগুলির জন্যে বরাবর মহিলারাই সব চেয়ে বেশি ভোগেন। হিজাব ছাড়া তাঁদের ঘরের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা। কিশোরী এবং যুবতীদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার উপর নিষেদ্ধাজ্ঞা। পার্ক, খেলার মাঠ এবং জিমে যাওয়াও নিষিদ্ধ মেয়েদের। সম্প্রতি আফগানিস্তান জুড়ে কয়েক হাজার বিউটি পার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গান কেন বন্ধ হল? ‘মিনিস্ট্রি ফর দ্য প্রোমোশন অফ ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ ভাইস’ মন্ত্রণালয়ের হেরাত বিভাগের প্রধান আজিজ আল-রহমান আল-মুহাজির বলেছেন, সংগীত প্রচারের মধ্য দিয়ে নৈতিক অবক্ষয় হয়। গানবাজনার কারণে তরুণেরা বিপথগামী হয়ে পড়ে। এ অবশ্য নতুন নয়। ২০২১ সালের অগস্টেই আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালিবান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের আইন ও বিধিনিষেধ জারি করে আসছে সেখানে। প্রকাশ্যে গানবাজনার উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: World’s Hottest Month: ১ লক্ষ ২০ হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম মাস এই জুলাই! এবার কি গ্লোবাল বয়েলিংয়ের যুগ?
গত শনিবার কয়েকশো ডলার মূল্যের মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে। বেশির ভাগ বাদ্যযন্ত্রই শহরের ম্যারেজ হলগুলি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সব যন্ত্রের মধ্যে আছে– গিটার, তারের বাদ্যযন্ত্র, হারমোনিয়াম, তবলা, ড্রাম ইত্যাদি। এ ছাড়া কিছু অ্যামপ্লিফায়ার এবং স্পিকারও পোড়ানো হয়েছে।