জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিশ্ব জুড়ে বহু আলোচনা হয়। নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখি বসে বহু পর্যালোচনা সারেন। পরমাণু অস্ত্রের সমালোচনা হয়, তা নিষিদ্ধ করার জন্য নানা চুক্তি হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় কি? সম্ভবত হয় না। যেমন, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি তলায় তলায় নিজেদের পরমাণুশক্তি ঠিকই বাড়িয়ে নিচ্ছে, কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই।
আরও পড়ুন: Netherlands: বালিয়াড়ির চূড়ায় শুয়ে থাকুন, কিন্তু যৌনসুখের চূড়ায় উঠবেন না প্লিজ…
সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে। বিশ্ব জুড়ে ১২, ৫১২ টি নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডস রয়েছে! এগুলিকে ব্যাটলরেডি ওয়্যারহেডস বলা হচ্ছে। এর মধ্যে আদ্যন্ত নতুন চিনের ৬০টি। খুবই ভয়-জাগানো একটা সংখ্যা। যা তারা গত এক বছর ধরে গড়ে তুলছে। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়া (১২), পাকিস্তান (৫), উত্তর কোরিয়া (৫) এবং ভারত (৪)। এ ছাড়া ৯৫৭৬টি মিলিটারি স্টকপাইলস প্রস্তুত।
চিনকে বিশ্বের তৃতীয় পরমাণুশক্তিধর দেশ হিসেবে ধরা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাদের ৩৫০টি পরমাণু ওয়্যারহেডস ছিল, আর এই ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ৪১০-য়ে! সূত্রের খবর, তাঁদের এই পরমাণুশক্তির বহর ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। যা বাকি বিশ্বের পক্ষে যথেষ্ট ভীতিজনক। তবে বাড়লেও তা কখনওই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়াকে টপকে যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Taliban and Al-Qaeda: তালিবানের সঙ্গে আল-কায়দার গোপন যোগ? আফগানিস্তানের কড়া সমালোচনা রাষ্ট্রসংঘের…
সব চেয়ে অন্তর্বিরোধ যে জায়গাটায় লুকিয়ে সেটা হল রাষ্ট্রগুলির কাজ ও কথা। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স মাত্র বছরদুয়েক আগেই এ বিষয়ে একমত হয়েছিল যে, পরমাণুযুদ্ধ বাধা উচিত নয়, এ-যুদ্ধে জয়ীও হওয়া যায় না!
অতএব?
ধরে নেওয়া স্বাভাবিক যে, এমন মন্তব্য করার পরে দেশগুলি নিশ্চয়ই পরমাণুশক্তিধর হওয়ার রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াবে। কিন্তু কার্যত তা ঘটছে না। বরং মুখে তারা যা-ই বলুক, তলায়-তলায় পরমাণুশক্তি তারা বাড়িয়েই চলেছে।