দেখতে হালকা, দামে ভারী! ১টা পালক প্রায় ২৪ লক্ষ…| Worlds most expensive feather sells at New Zealand auction

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমানে বিলুপ্ত নিউজিল্যান্ডের হুইয়া পাখি। সেই পাখির একটি পালক নিলামে বিক্রি হয়েছে। যার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে। বিবিসি জানিয়েছে, ২৮ হাজার ৪১৭ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে ওই পাখির পালক। যার মূল্য ২৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। এটি বিক্রির পর বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই পাখিরই একটি পালক ৮ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় যা ছিল রেকর্ড।

জানা গিয়েছে, হুইয়া পাখিটি এখন বিলুপ্ত। তাই এর পালক খুব বিরল ও মূল্যবান। এখনও পর্যন্ত নিলামে যত পাখির পালক বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে দামি। 

ওয়েবস অকশন হাউজে গত সোমবার হুইয়া পাখির ওই পালকটি বিক্রি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল পালকটি সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে। কিন্তু এই দামে বিক্রি হওয়ার পর তা আগের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে বলে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েব’স জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:Bangladesh MP killed: ‘সোনার জামাই’-কে হারিয়ে কাঁদকে কাঁদতে জ্ঞান হারাচ্ছেন এমপির শাশুড়ি

মাওরি জাতি হল নিউজিল্যান্ড ভূখণ্ডের আদিবাসী এবং একটি পলিনেশীয় জাতি। এই সম্প্রদায়ের কাছে হুইয়া পাখি অত্যন্ত পবিত্র। একসময় মাওরি গোত্র প্রধান এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মাথার মুকুটে হুইয়া পাখির পালক শোভা পেত। এই পাখির পালক উপহার হিসেবেও জনপ্রিয় ছিল এবং পালক বিক্রিও করা হত।

নিউজিল্যান্ডের যাদুঘর অনুসারে, ইয়া পাখি সর্বশেষ নিশ্চিতভাবে দেখা গিয়েছিল ১৯০৭ সালে। কিন্তু তার পরের বিশ থেকে ত্রিশ বছর ধরেও অসমর্থিত সূত্রে এই পাখি দেখার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে মনে করা হয়, ১৯২০–এর দশক পর্যন্ত হয়তো হুইয়া পাখি জীবিত ছিল।

নিউজিল্যান্ডের ওয়াটলবার্ড প্রজাতির ছোট্ট পাখি ছিল হুইয়া। চমৎকার গান করত এই পাখি, শরীরে পালকের বেশির ভাগই কালো, লম্বা লেজের শেষেপ্রান্ত সাদা। এই পাখি লাফানোর ক্ষমতা এবং সুন্দর পালকের জন্য খুব সুপরিচিত ছিল। সোমবার বিক্রি হওয়া পালকটি খুবই অক্ষত অবস্থায় ছিল বলে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েব’স-এর ডেকোরেটিভ আর্টসের প্রধান লেয়া মরিস বলেছেন। 

আরও পড়ুন:Mymensingh: পথ দেখাল শেয়াল, একই গর্তে মিলল ২ শিশু ও মহিলার পচাগলা মৃতদেহ

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখনও পালকটি খুব স্বতন্ত্র চকচকে অবস্থায় আছে এবং কোনো পোকামাকড় এর ক্ষতি করেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘নিলামকারী প্রতিষ্ঠান পালকটি ইউভি প্রতিরক্ষামূলক কাচের বাক্সের ভিতর আর্কাইভাল কাগজ দিয়ে জড়িয়ে  রেখেছিল।’ নিউজিল্যান্ডের মিনিস্ট্রি অব কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ এর অনুমতি ছাড়া এ ধরণের বস্তু দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায় না। পালকটির চমৎকার অবস্থা, আর্কাইভের জন্য ব্যবহার করা কাগজ ও ইউভি গ্লাসের মাধ্যমে এটি সংরক্ষণ করা এবং হুইয়া পাখির গল্প—এসবই নিলামে পালকটির দাম উঠতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন লিয়াহ মরিস।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Source link