উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ জেলা। আতঙ্ক-ধর্ষণ-ডাকাতি-বধূ নির্যাতন-পণপ্রথা- উত্তরপ্রদেশকে এই সব দুষ্কর্মের আতুরঘর বলে মনে করা হয়। ধর্ষণের ঘটনা ওখানে কিছু বিচ্ছিন্ন নয়। নারী নিরাপত্তার অভাবের ভোগে ৮ থেকে ৮০। এবার কাশগঞ্জ জেলার হাজরা ক্যানেলে, ১৬ বছরের এক তরুণী তার বাগদত্তা কুড়ি বছরের যুবকের সঙ্গে জনপ্রিয় একটি পিকনিক স্পটে ঘুরতে গিয়েছিলেন। দুপুর বেলা প্রকাশ্য দিবালোকে কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে গায়ের জোরে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। সঙ্গে তাঁর হবু স্বামীকে মারধর করে। এই ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তরুণী ট্রমায় চলে গিয়েছিল।
একজন নয় একের পর এক অর্থাৎ একে একে মিলে সাত আট জন তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর ওই কিশোরী তার নিজের বাড়িতেও কিছু বলে না। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি করতে থাকলে সেই তাঁর বাড়িতে জানায়। এরপর পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ১০৯৮ ফোন করে, পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায়। জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় ধর্ষণের ভিডিও তুলেছিল। তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল। এ ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসলে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- নৃশংস হত্যাকাণ্ড! খুনের পর তার দিয়ে বেঁধে কাপড়ে মুড়িয়ে ড্রেনে, ধরিয়ে দিল…
তাঁর হবু বাগদত্তার সঙ্গে সে যখন প্যানেলের ধারে হাঁটছিল, ঠিক তখনই গায়ের জোড়ে পাশের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে এই কুকর্ম চালান। মেয়েটি জানিয়েছে যে, পুরুষরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে এসে তাদের উপর অকথ্য ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। তারপর তারা তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন তার বাগদত্তাকে ধরে ফেলে। প্রায় দুই ঘন্টা পর, তাঁদের যেতে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার সোনার কানের দুলও কেড়ে নেয় দুষ্কৃতিরা।
উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জের পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে, দু’জন এখনও পলাতক।। কাশগঞ্জ পুলিশের মতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) ধারায় গণধর্ষণ এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোয় ১০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তারা ওই কিশোরীর কাছ থেকে কিছু টাকাও ছিনিয়ে নেয়। কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের বারানসীতে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের স্মৃতি উসকে দিয়েছে এই ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ বারাণসী কাণ্ডে এবং বলেছেন যে একজন দুষ্কৃতীও যেন ছাড়া না পায়।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত চাপ? বিমানের ককপিট থেকেই মহাশুন্যের পথে! সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে গেলেন…
X-তে একটি পোস্টে কংগ্রেস বলেছে, “একদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী উত্তর প্রদেশে নারী সুরক্ষার ঢাক বাজাচ্ছেন। অন্যদিকে, তাদের ‘প্রিয়’ তরুণ নেতা প্রকাশ্যে একজন মেয়েকে ধর্ষণ করছেন। এটি বিজেপির একই নীচ চিন্তাভাবনার ফলাফল, যেখানে মহিলাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)