জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুারো: প্রেমিকের টানে নেপাল হয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন পাক গৃহবধূ সীমা হায়দার। ভারতীয় তরুণ সচিন মিনার সঙ্গে সংসার পেতেছেন সীমা। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে সীমা একজন পাকিস্তানি চর। এখন শোনা যাচ্ছে সীমা অন্তঃসত্ত্বা। পকিস্তানে তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এখন ভারতে আসার আগে থেকেই তিনি গর্ভবতী ছিলেন কিনা তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন-পুকুর কাটতে গিয়ে উঠে এল বিরল বিষ্ণু মূর্তি, খবর পেয়ে ছুটে এল পুলিস, তারপর…
পাবজি খেলতে খেলতেই সীমার সঙ্গে পরিচয় সচিনের। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা ও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দুজনের। সীমা ও সচিন বর্তমানে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের রাবুপুরা গ্রামে। সেখানে এখন জোর গুজব সীমা এখন গর্ভবতী এবং সেই সন্তানের জনক সচিনই। কয়েকদিন আগেই সীমাকে নিয়ে চিকিত্সকের কাছে গিয়েছিলেন সচিন। সীমা একজন পাকিস্তানি চর কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। তার মধ্যেই এই খবর।
পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দারের প্রথম স্বামী গুলাম হায়দায়। তাদের ৩ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। সচিনের টানে চার সন্তানকে নিয়েই নেপাল চলে আসেন সীমা। সেখান থেকে সচিনের সঙ্গে ঢুকে পড়ে ভারতে। তারা বিয়েও করেছেন বলে দাবি দুজনের। ভারতে তাঁকে থাকতে দেওয়া হোক, সরকারের কাছে এমনটাই আবেদন জানিয়েছেন সীমা। কিন্তু তাঁকে সন্দেহের বাইরে রাখতে রাজি নয় তদন্ত সংস্থাগুলি। ফলে তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
এদিকে, গৌতম বুদ্ধ নগরে নতুন ঘরে এসে বেশ কষ্টেই রয়েছেন সীমা-সচিন। ধীরে ধীরে দারিদ্র তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ভারতীয় লোকশক্তি কিষান মোর্চার প্রধান মাস্টার স্বরাজ সম্প্রতি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, তাদের বাড়ির সামনে সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে মিডিয়ার লোকজন। পরিস্থিতি এমনই যে বাইরে বেরিয়ে তারা খাবার কিনে আনবেন তারও জো নেই। পাশাপাশি তাদের উপরে নজর রেখে চলেছে পুলিস। তবে গ্রামের মানুষ তাদের পাশে রয়েছেন।